নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার কর্মরত বিভিন্ন সংবাদপত্র, সংবাদ ও ফিচার সংস্থা, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সংযুক্ত সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিকদের নিয়ে এই সংগঠনের অধিক্ষেত্র হবে সমগ্র জেলা। সামাজিক দায়িত্ব পালন ইত্যাদির প্রয়োজনে একটি ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান গঠন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় এই এলাকার সাংবাদিক, আলোকচিত্র শিল্পী এবং সংবাদপত্র সেবীগণ সম্মিলিতভাবে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে একে ‘নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব’ নামে অভিহিত করে বিগত ১৯৬৬ সন হতে কাজ করে আসছে। এই ক্লাবের কার্যনির্বাহের প্রয়োজনে বর্তমানে এই গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হল। যার প্রতিটি ধারা ও উপধারা অত্র ক্লাবের দৈনন্দিন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যাবলী পরিচালিত হবে এবং যার পবিত্রতা ও কার্যকারিতা রক্ষা করার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলের উপর বর্তাবে। এই গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হওয়ার সাথে সাথে পূর্ববর্তী গঠনতন্ত্র অকার্যকর ও বাতিল বলে গণ্য হবে।
সংজ্ঞা [ডেফিনেশন]
ক. ক্লাব বলতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব বুঝাবে।
খ. সদস্য বলতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদকে বুঝাবে।
গ. কার্যকরী পরিষদ বলতে ক্লাবের নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বুঝাবে।
ঘ. প্রতিষ্ঠান বলতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব বুঝাবে।
ঙ. সভাপতি বলতে ক্লাবের সভাপতিকে বুঝাবে।
চ. সহ-সভাপতি বলতে ক্লাবের সহ-সভাপতিকে বুঝাবে।
ছ. সম্পাদক বলতে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে বুঝাবে।
জ. যুগ্ম সম্পাদক বলতে ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদককে বুঝাবে।
ঝ. কোষাধ্যক্ষ বলতে ক্লাবের কোষাধ্যক্ষকে বুঝাবে।
ঞ. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক বলতে ক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদককে বুঝাবে।
ট. কার্যকরী সদস্য বলতে ক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের বুঝাবে।
ঠ. স্টাফ ও কর্মচারী বলতে ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মচারীকে বুঝাবে।
অনুচ্ছেদ এক
ধারা ১[এক] ঃ নাম ও অধিক্ষেত্র
ক. এই প্রতিষ্ঠানের নাম -‘নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব’ নামে অবিহিত হবে।
খ. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা এর অধিক্ষেত্র বলে বিবেচিত হবে।
গ. ক্লাবের নিজস্ব ভবন, ২৩১/১, বঙ্গবন্ধু সড়কস্থ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব নামে অবহিত হবে এবং এই ভবন থেকে ক্লাবের সামগ্রিক কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।
ধারা ২[দুই]
ক. এই ক্লাব সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত কিংবা আধা স্বায়ত্বশাসিত যে কোন ধরনের সমিতি কিংবা প্রতিষ্ঠানের আওতা বহির্ভূত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবমুক্ত একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে। ক্লাবের নামের কোন প্রকার হস্তান্তর, রূপান্তর অথবা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ধারা ৩[তিন]
ক. প্রয়োজনে সরকারী আইন মোতাবেক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর আওতায় রেজিস্টার্ড হতে পারবে।
খ. কেবলমাত্র অন্তর্ভুক্ত সদস্যগণই এই ক্লাবের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ দুই
ধ্রাা ১[এক] ঃ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
ক. সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের পেশাগত বৃত্তির উন্নতি ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি,ভাবের আদান-প্রদান, চিত্ত বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ বস্তুনিষ্ঠ ও সুষ্ঠু সাংবাদিকতার বিকাশ।
খ. সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিভা বিকাশ, পেশাগত মানোন্নয়ন , মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও স্বার্থরক্ষা।
গ. সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকর্মীদের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণ করা।
ঘ. পেশাগত বৃত্তির উৎকর্ষতার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
ঙ. সাংবাদিকদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিজস্ব রচনা বা পুস্তিকা প্রকশের সুবিধার্থে বিক্রয় বা বন্টনের সহযোগিতা করা।
চ. সাংবাদিকদের উৎসাহিত করার জন্য বৃত্তি এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।
ছ. সামগ্রিকভাবে ক্লাবের লক্ষ্য অর্জনে নিজস্ব ছাপাখানা , গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা , সংবাদপত্র, মাসিক, পাক্ষিক সাময়িকী প্রকাশ করা।
জ. ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য দান, অনুদান, সদস্য ফিস সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করা। অর্থ ও ইমারত অন্যান্য সম্পত্তি অনুদান হিসাবে গ্রহণ করা এবং এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসা বাণিজ্যে অংশ নেয়া।
ঝ. সংগঠনের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচিত হতে পারে কিংবা ক্লাবের যে কোন কাজে লাগতে পারে এবং তার সুষ্ঠু ব্যবহার হতে পারে এমন যে কোন জমি, ইমারত প্রকৃত অথবা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা তার ব্যবহারিক অধিকার ক্রয় করা , ইজারা নেয়া বা বিনিময় স্বরূপ গ্রহণ বা অন্য কোনভাবে অধিগ্রহণ এবং তা বিক্রি করা, পাট্টা বন্ধক দেয়া, বিনিময় কিংবা বিলি বন্দোবস্ত করা।
ঞ. দেশ বিদেশে সাংবাদিকদের সফরের আয়োজন করা।
ট. সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি, আর্থিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করে তাদের মাঝে ঋণ দেয়া অথবা ভাতা দেয়া, বীমার জন্য অর্থ দেয়া, মরনোত্তর অনুদান প্রদান করা।
ঠ. শিক্ষা সাহিত্য ও শিল্পকলার উন্নয়ন সাধন করা।
ড. ক্লাবের আয় সকল সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় হবে কিন্তু বন্টনযোগ্য নয়।
অনুচ্ছেদ তিন
ধারা ১[এক] ঃ সদস্যদের শ্রেণি বিভাগঃ
এই ক্লাবে পাঁচ ধরনের সদস্যপদ থাকবে।
ক. স্থায়ী সদস্য-: জাতি, দল, মত নির্বিশেষে এই ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন করবেন এমন ব্যক্তি, যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী হিসেবে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত কোন দৈনিক অথবা সাপ্তাহিক পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা, ফিচার সংস্থা, রেডিও, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এর জেলা ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত সংবাদ প্রতিনিধি, অথবা ফটো সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া জেলায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তি জাতীয় পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত স্টাফ রিপোর্টার, স্টাফ ফটোগ্রাফার, উপ-সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, সাব-এডিটর, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বার্তা বিভাগের প্রধান, স্টাফ রিপোর্টার, স্পেশাল রিপোর্টার, স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক । তারা এই ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন বলে বিবেচিত হবে।
একইভাবে ক্লাবের স্থায়ী সদস্য যিনি কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি লাভ করে স্টাফ রিপোর্টার অথবা স্টাফ ফটোগ্রাফার, অথবা উপ-সম্পাদক, অথবা সহকারী সম্পাদক এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক হবার পরও স্থায়ীভাবে অধিক্ষেত্র এলাকায় বসবাস করছেন, তার স্থায়ী সদস্যপদ বহাল থাকবে।
খ. সরকারী নিয়ম অনুসারে প্রেস ক্লাবের অধিক্ষেত্র এলাকা হতে ডিক্লারেশন রুলস্ অনুযায়ী নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক পর্যায়ের যে কোন দুইজন স্থায়ী সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন বলে বিবেচিত হবেন। তবে তাদের সাংবাদিকতা কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ধারা ২[দুই]
সহযোগী সদস্যঃ
ক.শিক্ষা, শিল্পকলা ও সাহিত্য ইত্যাদি ধরনের সুকুমার বৃত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি সাংবাদিকতায় উৎসাহী, অনুরাগী এবং পৃষ্ঠপোষকতায় অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিকে ক্লাবের সহযোগী সদস্যপদ প্রদান করা যাবে।
খ. সহযোগী সদস্য ক্লাব ব্যবহার এবং ক্লাবের যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
গ. সহযোগী সদস্যপদ প্রদানের বিষয়টি কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
আজীবন সদস্যঃ
ক. সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান, এর পৃষ্ঠপোষকতা এবং এই পেশায় সমস্ত কর্মকান্ডে সহযোগিতা প্রদানকারী অথবা নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আজীবন সদস্য হবার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
খ. এককালীন ন্যূনতম ১০,০০,০০০ [দশ লক্ষ] টাকা অনুদানের বিনিময়ে কোন ব্যক্তিকে আজীবন সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
গ. ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদে দীর্ঘদিন কর্মরত ব্যক্তি যদি সাংবাদিকতা পেশা থেকে অবসর নেন অথবা পেশাগত জীবনে প্রেস ক্লাবের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ বলে প্রতীয়মান হয় তবে তাকে আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা যাবে। সে ক্ষেত্রে তার স্থায়ী সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
ঘ. অতিথি সদস্য ঃ স্থায়ী সদস্যদের স্ত্রী ও ছেলে- মেয়ে স্বাভাবিকভাবে ক্লাবের অতিথি সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবেন।
ধারা ৩[তিন]
প্রাথমিক সদস্যপদঃ ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের পূর্বে আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ধারা ১(এক) এর ক মোতাবেক সমস্ত শর্ত পূরণ করে কার্যকরী পরিষদের বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রাপ্তির পর সদস্যপদ উপ-কমিটির মাধ্যমে সুপারিশকৃত হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরী পরিষদ বর্ণিত আবেদনকারীকে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করতে পারবেন। সদস্যপদ প্রাপ্তির দিন হতে এক বছর তিনি ক্লাবের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তবে এই সময়ে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। এক বছর পূর্ণ হলে প্রাথমিক সদস্য ক্লাবের স্থায়ী সদস্য প্রাপ্তির জন্য ক্লাবের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবেন। আবেদন অগ্রাহ্য হলে স্বাভাবিকভাইে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। পরবর্তীকালে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করলে পুণরায় ক্লাবের প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সদস্যের সার্বিক আচার-আচরণ ক্লাবের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নীতিমালার সাথে অবশ্যই সংগতিপূর্ণ হতে হবে। তবে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত কিংবা পদবীধারী কোন ব্যক্তির সদস্যপদের জন্য আবেদন অগ্রাহ্য বলে বিবেচিত হবে।
খ. প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাশী আবেদনকারী অধিক্ষেত্র এলাকায় গঠিত অন্য কোন প্রেস ক্লাবের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না এবং তিনি অন্য কোন প্রেস ক্লাবের সাথে জড়িত নন এই মর্মে আবেদনপত্রের সাথে অঙ্গীকারপত্র প্রদান করবেন। প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের পরও যদি প্রমানিত হয় তিনি অধিক্ষেত্রের এলাকার প্রেস ক্লাবের সাথে জড়িত রয়েছেন, তাহলে সাথে সাথে কার্যকরী পরিষদ তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেন।
গ. জাতীয়ভাবে প্রকাশিত এবং প্রচারিত ডিএফপি অন্তর্ভুক্ত কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, সংবাদসংস্থা, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, সংবাদ সংক্রান্ত ফটো এজেন্সি,রেডিও-এর জেলা সংবাদদাতা/প্রতিনিধি/স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পরিচয়পত্র /নিয়োগপত্রধারী কোন ব্যক্তি যিনি নিয়মিতভাবে নিজস্ব মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
ঘ. ন্যুনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সাংবাদিকতায় ০৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ঙ. স্থায়ীভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করছেন এমন ব্যক্তি।
চ. নারায়ণগঞ্জ থেকে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত সরকারীভাবে মিডিয়াভুক্ত কোন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক/নির্বাহী সম্পাদক ন্যুনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ/ সমমানের এবং সাংবাদিকতায় ০৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমন কোন ব্যক্তি সদস্যপদের জন্য নিদির্ষ্ট ফরমে কার্যকরী পরিষদের নিকট আবেদন করবেন।
প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য নি¤œলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে –
ছ. যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সদস্যপদ পেতে ইচ্ছুক সে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের দেয়া নিয়োগপত্র এবং পরিচয়পত্র যার মেয়াদ থাকতে হবে এবং নিয়োগপত্রে বেতনের বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সাথে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্রের মূলকপি কার্যকরী পরিষদকে দেখানো সাপেক্ষে সদস্যপদ প্রদান করা হবে। নিয়োগপত্রের বিকল্প হিসেবে কোন প্রত্যয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হবেনা।
জ. আবেদনকারীকে গত ০৩ মাসের অন্তত ৩০টি প্রকাশিত সংবাদের কাটিংয়ের ফটোকপি তারিখসহ জমা দিতে হবে।
ঝ. সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ঞ. স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার ক্ষেত্রে ০৩ মাসের ৯০টি প্রকাশিত সংখ্যার কপি।
ট. আবেদন পত্রের সাথে এইচএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। এ সনদের মূলকপি কার্যকরী কমিটিকে দেখানো সাপেক্ষে সদস্যপদ প্রদান করা হবে।
ধারা ৪[চার]
ক. ক্লাবের একমাত্র স্থায়ী সদস্যগণই কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ , ভোটদান ও ক্লাবের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ধারা ৫[পাঁচ]
অন্তর্ভুক্ত সকল শ্রেণির সদস্যপদ অবশ্যই কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
অনুচ্ছেদ চার
ধারা ১[এক] ঃ সদস্যপদ বাতিল
কার্যকরী পরিষদ গঠনতন্ত্র মোতাবেক সংগত কারণে যে কোন সদস্যপদের আবেদন অগ্রাহ্য কিংবা নি¤œলিখিত কারণে সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেন।
ক. যদি তিনি এই ক্লাবের আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিরোধী অথবা স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজে লিপ্ত ছিলেন অথবা আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
খ. নৈতিক স্খলনমূলক কার্যে অভিযুক্ত হলে
গ. যদি তিনি সাংবাদিকতা পেশা ত্যাগ করেন।
ঘ. যদি তিনি ক্রমান্বয়ে ছয় মাস সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া অথবা সংবাদ সংস্থা সঙ্গে জড়িত না থাকেন।
ঙ. যদি তার পত্রিকা স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং পুণরায় নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ না হলে এক বছরের মধ্যে সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
চ. যদি তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
ছ. সংগঠনের আদর্শ ও লক্ষ্য পরিপন্থী কোন কার্যে লিপ্ত হলে।
জ. যদি তিনি জেলার বাইরে অন্যত্র স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।
ঝ. যদি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সঠিক না বলে প্রমাণিত হয়।
ঞ. কোন স্থায়ী, প্রাথমিক এবং আজীবন সদস্য ক্লাবের অন্য যে কোন সদস্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতসহ যে কোন অমানবিক আচরণে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে।
ট. সদস্যপদ বাতিলের পূর্বে অভিযুক্ত সদস্যকে অবশ্যই কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে হবে। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর কার্যকরী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের কাছে উক্ত জবাব সন্তোষজনক না হলে।
ঠ.স্থায়ী সদস্য হওয়ার পর যদি অধেক্ষেত্রের মধ্যে অন্য কোন প্রেস ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকার প্রমান পাওয়া গেলে।
ধারা ২[দুই]
যদি কার্যকরী পরিষদের কাছে অভিযুক্ত সদস্য দোষী বলে প্রতীয়মান হয় তবে ক্ষেত্র বিশেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সর্তক নোটিশ অথবা নুন্যতম তিন মাসের জন্য সদস্যপদ স্থগিত করতে পারবে।
ধারা ৩[তিন]
কোন পত্রিকা অস্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা কোন সদস্য অবৈধ ও অন্যায়ভাবে কর্মচ্যুত হলে উপরোক্ত বিধি প্রযোজ্য হবে না।
ধারা ৪[চার]
যে কোন সদস্যপদ বাতিল করতে হলে অবশ্যই কার্যকরী পরিষদের উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে।
ধারা ৫[পাঁচ]
প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে তার ক্লাব ব্যবহার বাতিল হয়ে যাবে। তবে পরবর্তী পর্যায়ে প্রাথমিক সদস্যপদের জন্য নতুনভাবে আবেদন করলে কার্যকরী পরিষদ তা বিবেচনার এখতিয়ার রাখেন।
অনুচ্ছেদ পাঁচ
সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফি
ধারা ১[এক]
ক. প্রাথমিক সদস্যদের মাসিক চাঁদা ৫০(পঞ্চাশ) টাকা
খ. স্থায়ী সদস্যদের মাসিক চাঁদা ৫০(পঞ্চাশ) টাকা
গ. সহযোগী সদস্যদের মাসিক চাঁদা ২০০ (দুইশত) টাকা
ঘ. স্থায়ী, প্রাথমিক ও সহযোগী সদস্য পদের জন্য ২০০(দুই শত]) টাকা সদস্য প্রদান ফি প্রদান করতে হবে। এবং আবেদনকারীকে সদস্যপদ লাভের সময় এককালীন তিন মাসের চাঁদা অগ্রিম জমা দিতে হবে।
ঙ. সম্মানিত আজীবন ও অতিথি সদস্যদের কোন মাসিক চাঁদা প্রদান করতে হবে না।
ধারা ২[দুই]
লাইব্রেরী, খেলাধূলা কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে কার্যকরী পরিষদের অনুমতিক্রমে মাসিক, বাৎসরিক কিংবা এককালীন চাঁদা ধার্য করা যাবে।
ধারা ৩[তিন]
মাসিক চাঁদা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রদান করতে হবে। কয়েক মাসের চাঁদা একত্রে অগ্রিম পরিশোধ করা যাবে।
ধারা ৪[চার]
মাসিক চাঁদা পরপর তিন মাস বাকি পড়লে সংশ্লিষ্ট সদস্য ডিফল্টার বিবেচিত হবেন এবং কার্যকরী পরিষদ তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেন। তবে তৎপূর্বে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে অবগত করবার জন্য রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করতে হবে। ডিফল্টার সদস্যের ক্ষেত্রে ক্লাবের বকেয়া পাওনা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা মাত্র উক্ত সদস্য তার সদস্যপদ ফিরে পাবেন।
ধারা ৫[পাঁচ]
প্রত্যেক প্রকার সদস্যের জন্য স্থায়ী তালিকা বই থাকবে। যেখানে তার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফোন নম্বর, পারিবারিক পরিচিতি ও পদবী ইত্যাদি লেখা থাকবে।
ধারা ৬[ছয়]
ক্লাবের উন্নতি এবং আয়কল্পে ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান এবং ক্লাবের অস্বচ্ছল সদস্যদের চিকিৎসার জন্য কোন সহৃদয় ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নগদ অর্থ অথবা দ্রব্যাদি ডোনেশন হিসেবে গ্রহণ করা যাবে।
ধারা ৭[সাত]
ক্লাবের উন্নতি এবং আয় বৃদ্ধিকল্পে ক্লাব মিলনায়তন কিংবা ক্লাব অঙ্গনে বিচিত্রানুষ্ঠান, খেলাধুলা, সামাজিক অথবা বৈবাহিক কোন অনুষ্ঠানের জন্যে ভাড়া দেয়া যাবে অথবা নিজেদের উদ্যোগে আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য সংকলন প্রকাশসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া যাবে।
ধারা ৯[নয়]
কার্যকরী পরিষদ ক্লাব মিলনায়তন ও প্রাঙ্গণের ভাড়া নির্ধারণ করবেন এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তা কমাতে এবং বাড়াতে পারবেন। তবে স্থায়ী সদস্যদের ক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদ নামমাত্র ভাড়া ধার্য করতে পারবেন।
ধারা ১০[দশ]
ক্লাবের ব্যয় নির্বাহ এবং অন্যান্য খরচের জন্য প্রয়োজনে সমবায় ভিত্তিতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ কার্যকরী পরিষদের বিবেচনাধীন যে কোন বৈধ ব্যবসা করতে পারবে।
ধারা ১১[এগার]
ক্লাবের যাবতীয় আয় শুধুমাত্র ক্লাবের প্রয়োজনেই ব্যয় করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষ ক্লাবের আয় নিজ স্বার্থে ব্যবহার করলে আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
অনুচ্ছেদ ছয়
ধারা ১[এক] ঃ সাধারণ পরিষদ
ক. এই ক্লাবের জন্য একটি সাধারণ পরিষদ থাকবে। সকল স্থায়ী সদস্য সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত হবে। সাধারণ পরিষদই ক্লাবের সর্বোচ্চ পরিষদ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সাধারণ পরিষদের যে কোন সিদ্ধান্ত কার্যকরী পরিষদ অবশ্যই অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করবে।
খ. ক্লাবের দৈনন্দিন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ও প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করবার জন্য সাধারণ পরিষদ একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করবে।
গ. কার্যকরী পরিষদ সুষ্ঠুভাবে কাজ চালাতে সক্ষম না হলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন দিতে অপারগ হলে সাধারণ পরিষদ দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে কার্যকরী পরিষদ ভেঙ্গে দিতে পারবে।
ঘ. কার্যকরী পরিষদ ভেঙ্গে দিলে উক্ত সভায় তাৎক্ষণিকভাবে সর্বাধিক পাঁচ সদস্যের একটি এডহক কমিটি গঠন করে এর একজন আহ্বায়ক নিযুক্ত করতে হবে। এডহক কমিটি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠন করবে।
ঙ. সাধারণ পরিষদের বৎসরে অন্ততঃ একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। প্রয়োজন দেখা দিলে অতিরিক্ত সাধারণ সভা কিংবা জরুরী সাধারণ সভাও ডাকা যাবে। সাধারণ সভায় আয়-ব্যয়, বাজেট অনুমোদনসহ যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।
চ. সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ লিখিতভাবে দাবি জানালে কার্যকরী পরিষদ সাধারণ পরিষদের অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে সভা আহ্বান না করলে সদস্যগণ তলবী সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ ক্লাবের স্বার্থে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
ধারা ২[দুই] ঃ কার্যকরী পরিষদ
ক. ক্লাবের জন্য নি¤œলিখিত কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি কার্যকরী পরিষদ বা কমিটি গঠন হবে।
সভাপতি ঃ ১জন
সহ-সভাপতি ঃ ১জন
সাধারণ সম্পাদক ঃ ১জন
যুগ্ম সম্পাদক ঃ ১জন
কোষাধ্যক্ষ ঃ ১জন
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঃ ১জন
নির্বাহী সদস্য ঃ ৫জন
মোট ১১জন
খ. সাধারণ পরিষদের পরেই কার্যকরী পরিষদের স্থান বলে বিবেচিত হবে। অর্থ্যাৎ কার্যকরী পরিষদ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই গঠনতন্ত্র মোতাবেক ক্লাবের যাবতীয় বিষয় কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। প্রতিটি অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
গ. সভাপতির কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণের ভার সাধারণ পরিষদের এখতিয়ারভুক্ত থাকবে। কেননা তিনিই ক্লাবের প্রশাসনিক ও নির্বাহী প্রধান। তবে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষসহ অন্যান্য সদস্যের কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণের ভার কার্যকরী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকবে।
ঘ. কার্যকরী পরিষদ দু’বৎসরের জন্য নির্বাচিত হবে।
ঙ. সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাগণ পর পর দুই মেয়াদে একই পদে নির্বাচন করতে পারবেন। তৃতীয় মেয়াদে তিনি উল্লেখিত পদে (বিগত দুই মেয়াদে যে পদে ছিলেন) নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে তৃতীয় মেয়াদের পর উক্ত পদে নির্বাচন করতে পারবেন।
চ. প্রতি মাসে কার্যকরী পরিষদের একটি করে সভা হওয়া বাঞ্চনীয়। ইহা সম্ভব না হলে প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি সভা অতি অবশ্যই আহ্বান করতে হবে।
ছ. কার্যকরী পরিষদের পরপর যে কোন তিনটি সভায় সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়া কোন সদস্য বা কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকলে কার্যকরী পরিষদ হতে স্বাভাবিকভাবেই তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে দুইটি মিটিং এর পর তৃতীয় মিটিং এর সময় চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। তবে এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সদস্য বা কর্মকর্তা পূর্বাহ্নে তার অনুপস্থিতির কথা লিখিতভাবে জানালে অনুপস্থিতি গ্রহণযোগ্য হবে।
জ. কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য কিংবা কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ অথবা অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হলে কার্যকরী পরিষদ নির্দিষ্ট এজেন্ডার মাধ্যমে উক্ত পদ কো-অপ্ট করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামত গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৩[তিন] ঃ উপ-কমিটি ঃ
ক. কার্যকরী পরিষদ তার কাজের সুবিধার জন্য নি¤œলিখিত উপ-কমিটি গঠন করতে পারবেন।
অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক বা হাউজ উপ-কমিটি
সদস্যপদ উপ-কমিটি
খেলাধুলা উপ-কমিটি
শিল্পকলা উপ-কমিটি
সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি
সাংবাদিক কল্যান উপ-কমিটি
আইন সহায়ক উপ-কমিটি
খ. এ ছাড়াও প্রয়োজনবোধে আরও উপ-কমিটি গঠন করা যাবে।
গ. প্রতিটি উপ-কমিটির একজন আহ্বায়ক এবং কমপক্ষে চারজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে। কার্যকরী পরিষদের মনোনীত ক্লাবের যে কোন স্থায়ী সদস্যকে উপ-কমিটির আহ্বায়ক করা যেতে পারে।
ঘ. প্রয়োজনবোধে কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এসব উপ-কমিটিতে ক্লাবের সহযোগী সদস্যদের পক্ষ থেকে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
ঙ. উপ-কমিটিসমূহের উপর বর্ণিত কার্যভার সম্পাদন বা পরিচালনার জন্যে প্রয়োজনীয় সময়সীমা বা মেয়াদকাল কার্যকরী পরিষদ নির্ধারণ করবে।
চ. উপ-কমিটিসমূহের সভার কার্যবিবরণী কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন হতে হবে।
অনুচ্ছেদ সাত
ধারা ১[এক] সাধারণ নির্বাচন ঃ
ক. একটি কার্যকরী পরিষদ গঠনকল্পে সভাপতি সাধারণ সভা আহ্বান করবেন। এই সভা নির্বাচনী সাধারণ সভা হিসেবে বিবেচিত হবে। কার্যকরী কমিটির মেয়াদ পূর্তির অন্ততঃ ৩০দিনের নোটিশে এই সভা আহ্বান করে অনুচ্ছেদ ৬-এর ধারা ২ এর ‘ক’ মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করতে হবে। স্থায়ী সদস্যগণ যাদের চাঁদা যে মাসে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে সে মাসের পূর্ববর্তী মাস পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে এবং যারা নির্বাচন আহ্বানের তারিখের অন্তত তিন মাস পূর্বে স্থায়ী সদস্যভুক্ত হয়েছেন কেবলমাত্র তারাই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সভায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের এজেন্ডা থাকতে হবে।
খ. নির্বাচনী সভা নোটিশের সঙ্গে কার্যকরী পরিষদ তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন সম্বলিত নির্বাচন বিধিমালা প্রণয়নও প্রকাশ করবেন। নির্বাচন ব্যালট কেমন হবে তা কার্যকরী পরিষদ নির্ধারণ করবে। নির্বাচনী বিধিমালা আগেই কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন করে নিতে হবে।
গ. নির্বাচন কমিশন গঠনের পর কমিশনের এক বা একাধিক সদস্য কোন কারণে পদত্যাগ করলে কার্যকরী কমিটি কর্তৃক কমিশনের নতুন সদস্য নিয়োগ এবং নির্বাচন কমিশন কোন কারণে নির্বাচন করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে স্থলে কার্যকরী কমিটি পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। নির্বাচন পরিচালনা ছাড়া নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
ঘ. কার্যকরী কমিটি কর্তৃক প্রণীত ও অনুমোদিত ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।
ঙ. নির্বাচনী সাধারণ সভা দুই ভাগে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ভাগে সম্পাদক প্রদত্ত রিপোর্ট ও কোষাধ্যক্ষ প্রদত্ত তার সময়ের আয় ব্যয় ও কাজ-কর্মের রিপোর্ট পেশ এবং সাধারণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হইবে নির্বাচন।
চ. প্রতি দুই বছর অন্তর এই নির্বাচনী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ না হতে কার্যকরী পরিষদ ভেঙ্গে গেলে এডহক কমিটির মাধ্যমে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা হলে এডহক কমিটির আহ্বায়কও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। তবে এই নির্বাচন অন্তবর্তীকালীন নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ছ. সভাপতি নির্বাচনী সাধারণ সভার সভাপতিত্ব করবেন। নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনী কমিটির প্রধান।
জ. চলতি কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোন বাধা নেই।
ঞ. নির্বাচনের ফলাফল নোটিশ বোর্ডে ঐ দিনই [নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন] টাঙ্গিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন বোধে ইহা পত্রিকায়ও প্রকাশ করা যেতে পারে।
অনুচ্ছেদ আট
ধারা ১[এক] মিটিং এর নোটিশ
ক. পিয়ন বইয়ের মাধ্যমে মিটিং-এর নোটিশ বিলি করতে হবে। যাতে প্রাপক অথবা প্রাপকের পক্ষে বৈধ ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকবে। রেজিষ্টার্ড ডাকেও নোটিশ প্রদান করা যাবে। মিটিং-এর সকল সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে।
খ. মিটিং নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
ধারা ২[দুই]
নি¤œলিখিত সময়ের নোটিশে সভা আহ্বান করতে হবে।
ক. সাধারণ পরিষদঃ
সাধারণ সভা ঃ ১৫দিন
অতিরিক্ত সাধারণ সভা ঃ ৭ দিন
জরুরী সাধারণ সভা ঃ ৩দিন
খ. কার্যকরী পরিষদ:
সাধারণ সভা ঃ ৭ দিন
বিশেষ সভা ঃ ৩ দিন
জরুরী সভা ঃ ২৪ ঘন্টা
তলবী সভা ঃ ৭ দিন
গ. উপ-কমিটিসমূহের সভা ডাকার নিয়ম কার্যকরী পরিষদের অনুরূপ হবে।
ধারা ৩[তিন]
নির্বাচনী সাধারণ সভা ব্যতিত অন্যান্য সকল সভা সাধারণ সম্পাদক লিখিতভাবে সভাপতির অনুমতিক্রমে আহ্বান করবেন।
ধারা ৪[চার]
কোরাম ঃ সাধারণ পরিষদ কিংবা কাযকরী পরিষদের সভা মোট সদস্যের অর্ধেকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। কিন্তু কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক কোন সদস্য পদ বাতিল করতে হলে পরিষদের উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে।
ধারা ৫[পাঁচ]
সকল সভায় ক্লাবের সভাপতি সভাপতিত্ব করবেন। তার অনুপস্থিতিতে সভাপতি পূর্ব অনুমতিক্রমে সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করবেন। নির্বাচনী সাধারণ সভা ব্যতীত অন্যান্য সভায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সমান সমান হলে সভাপতি তার কাস্টিং ভোট প্রয়োগ করে বিষয়টির নিস্পত্তি করবেন।
ধারা ৬[ছয়]
মিটিং-এর জন্য কার্যবিবরণী বই থাকবে। মিটিং-এর কার্যবিবরণীগুলো ধারাবাহিকভাবে তাতে সন্নিবেশিত থাকবে। কার্যবিবরণী বই সাধারণ সম্পাদকের হেফাজতে থাকবে। প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী পরবর্তী সভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
ধারা ৭[সাত]
ক্লাবের কোন জরুরী বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সভা আহ্বান করা না গেলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তা গ্রহণ ও উত্থাপিত বিষয়াদির মীমাংসা করবে। তবে পরবর্তী কার্যকরী পরিষদের সভায় তা অনুমোদন করে নিতে হবে।
ধারা ৮[আট] ঃ অনাস্থা প্রস্তাব
কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতি ব্যতীত যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে। সভাপতি এবং কার্যকরী পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সাধারণ সভায় উত্থাপন করা হবে। এই ব্যাপারে অনুচ্ছেদ ৮-এর ৪নং ধারায় বর্ণিত ভোটের প্রয়োজন হবে।
ধারা ৯[নয়]
কোরামের অভাবে কোন সভা অনুষ্ঠিত হতে না পারলে সভাপতি সভা মুলতবী ঘোষণা করবেন। পরবর্তীতে একই সভার জন্যে কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।
অনুচ্ছেদ নয় (ক্ষমতা ও কার্যাবলী)
ধারা ১[এক]
সভাপতি ঃ ক্লাবে একজন সভাপতি থাকবেন। তিনি ক্লাবের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে যাবতীয় কাজকর্ম তদারক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি ক্লাবের সর্বক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। তার কাজের জন্য তিনি শুধুমাত্র সাধারণ পরিষদের কাছে দায়ী থাকবেন।
ধারা ২[দুই]
সহ-সভাপতি ঃ ক্লাবে একজন সহ-সভাপতি থাকিবেন। তিনি- সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করিবেন । সভাপতি যদি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত অথবা পদত্যাগ করেন তবে এই ক্ষেত্রে সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা ভোগ করবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা ৩[তিন]
সাধারণ সম্পাদক ঃ ক্লাবে একজন সাধারণ সম্পাদক থাকবেন। তিনি- সভাপতির পক্ষে সকল প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করবেন। প্রত্যেকটি সভায় গৃহীত প্রস্তাবাবলীর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের প্রতিও তিনি লক্ষ্য রাখবেন। ক্লাবের আর্থিক হিসাব [একাউন্টস] ও যাবতীয় সহায়-সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেও তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি কার্যকরী পরিষদের সভা আহ্বান করবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা ৪[চার]
যুগ্ম সম্পাদক ঃ ক্লাবের একজন যুগ্ম সম্পাদক থাকবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত দেয় অন্যান্য দায়িত্ব তিনি পালন করবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা ৫[পাঁচ]
কোষাধ্যক্ষ ঃ ক্লাবে একজন কোষাধ্যক্ষ থাকিবেন। ক্লাবের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব ও দায়-দায়ীত্ব কোষাধ্যক্ষের উপর অর্পিত থাকবে। তিনি কার্যকরী পরিষদের সভায় মাসিক হিসাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবেন। তিনি সাধারণ সভায় বিগত বছরের আয়-ব্যয় হিসাব এবং আগামী বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। ক্লাবের বার্ষিক বাজেট অনুযায়ী তিনি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। তবে বাজেটের বাইরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন করিয়ে নিবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা ৬[ছয়]
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঃ ক্লাবে একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক থাকিবেন। তিনি- ক্লাবের সার্বিক খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। তিনি ইনডোর, আউটডোর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। এছাড়া এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা ৭[সাত]
নির্বাহী সদস্য ঃ কার্যকরী পরিষদের ৫জন নির্বাহী সদস্য থাকবেন। কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যকরী পরিষদের সভায় ক্লাবের স্বার্থে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে মূল্যবান ভূমিকা রাখবেন। এছাড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুচ্ছেদ দশ
ধারা ১[এক]
সাধারণ প্রশাসনের প্রয়োজনে কর্মচারী নিয়োগ করা যাবে। কার্যকরী পরিষদ এই নিয়োগ এবং কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, ছুটি ইত্যাদি নির্ধারণ করবে।
ধারা ২[দুই]
ক. একাউন্টস ঃ ক্লাবের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের প্রকৃত হিসাব থাকবে। প্রচলিত একাউন্টস রুল মোতাবেক এই ব্যাপারে খাতা-পত্র রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সমস্ত আয়ই মুদ্রিত ও বৈধ রসিদের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।
খ. স্থানীয় যে কোন সিডিউল ব্যাংকে ‘নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব’ এই নামে একটি একাউন্টস থাকবে। এই একাউন্টস পরিচালিত হবে যুগ্ম স্বাক্ষরে। যুগ্ম স্বাক্ষরের বেলায় ক্লাবের কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর অবশ্যই থাকতে হবে। বাকী একজন সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক হতে হবে।
গ. সাধারণ সম্পাদক যে কোন খরচের জন্য সভাপতির অনুমতিক্রমে একত্রে সর্বাধিক দশ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তবে এই টাকা খরচের হিসাব পরবর্তী কার্যকরী পরিষদের সভায় অনুমোদন করে নিতে হবে।
ঘ. কার্যকরী পরিষদ প্রতি বৎসরের হিসাবপত্র পরীক্ষা করবার জন্য একজন অডিটর নিযুক্ত করবেন। প্রতি বৎসর বার্ষিক একইভাবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা যে মাসে অনুষ্ঠিত হবে সে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই এই অডিট শেষ করতে হবে।
ঙ. সাধারণ সম্পাদক প্রতি বৎসর বার্ষিক একইভাবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার পূর্বে অনুষ্ঠিতব্য কার্যকরী পরিষদের সভায় অডিট রিপোর্টসহ আয়-ব্যয়ের হিসাব ও বাৎসরিক বাজেট পেশ করে তা অনুমোদন করে নিবেন এবং তা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবেন।
ধারা ৩[তিন] ঃ বিষয় সম্পত্তি
ক. ক্লাবের যাবতীয় বিষয় সম্পত্তির স্টক রেজিষ্টার থাকতে হবে। খেলাধুলা, বই-পুস্তক ইত্যাদির জন্যেও পৃথক পৃথক ষ্টক রেজিষ্টার রাখা যেতে পারে।
খ. ক্লাবের নিজস্ব অফিসিয়াল সীল, প্যাড ইত্যাদি থাকতে হবে।
গ. ক্লাবের পক্ষে অন্যত্র প্রতিনিধিত্ব করবার প্রয়োজন দেখা দিলে কার্যকরী পরিষদ তা নির্বাচন করবে।
ঘ. ক্লাবের নিজস্ব একটি মনোগ্রাম থাকবে। কার্যকরী পরিষদ এই মনোগ্রাম প্রণয়ন করবে।
অনুচ্ছেদ এগার
অপরিবর্তনীয় ধারা
ধারা ১[এক]
এই গঠনতন্ত্রের ১নং অনুচ্ছেদের ২নং ধারা অপরিবর্তনীয় ধারা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ধারা ২[দুই]
এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপধারা, লাইন বা শব্দের ব্যাখ্যার প্রয়োজন দেখা দিলে তার মীমাংসার জন্যে কার্যকরী পরিষদের উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ধারা ৩[তিন]
এই গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপধারা, লাইন বা শব্দের পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা একমাত্র সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনেই করা যাবে।
এই গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা ও উপধারা বিচার-বিশ্লেষণ ও গোটা গঠনতন্ত্রের বিন্যাস এবং পরিবর্তনপূর্বক যুগোপযোগি করে সংশোধিত করার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত উপ-কমিটি কর্তৃক সংশোধিত গঠনতন্ত্র গত ২১ এপ্রিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সর্বসম্মতক্রমে অনুমোদিত হয় এবং পূর্বের গঠনতন্ত্র বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। উপ-কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন-জনাব মাহবুবুর রহমান মাসুম। সদস্য ছিলেন-সর্বজনাব বিমল রায়, রুমন রেজা,খন্দকার শাহ্ আলম ও শরীফ উদ্দিন সবুজ।
[২১ এপ্রিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সম্মনিত সদস্যবৃন্দ হলেন- জনাব মাহবুবুর রহমান মাসুম, জনাব বিমল রায়, জনাব হালিম আজাদ, জনাব সামসুল ইসলাম ভূইয়া, জনাব বিমান ভট্রাচার্য, জনাব হাবিবুর রহমান বাদল, জনাব তমিজ উদ্দিন আহমদ, জনাব আরিফ আলম দীপু, মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, জনাব সাইদুর রহমান, জনাব নাহিদ আজাদ, জনাব অরুন কুমার দে, জনাব মোস্তফা করিম, জনাব মাকসুদুর রহমান কামাল , জনাব রুমন রেজা, জনাব আবু সাউদ মাসুদ, জনাব মোঃ মনির হোসেন, জনাব নাফিজ আশরাফ, জনাব হাসানুজ্জামান শামীম , জনাব শরীফউদ্দিন সবুজ, জনাব আসিউর রহমান আনিস, জনাব মাহবুব-উল আলম সুমন, জনাব বিল্লাল হোসেন রবিন, জনাব রফিকুল ইসলাম জীবন, জনাব সালাম জুবায়ের, জনাব আসজাদুল কিবরিয়া, জনাব আব্দুস সালাম, জনাব শামীম নূর, জনাব রফিকুল ইসলাম রফিক, জনাব ফয়সল পরাগ, জনাব আফজাল হোসেন পন্টি , জনাব মজিবুল হক পলাশ, জনাব ইশতিয়াক আহমেদ , জনাব ইউসুফ আলী এটম, জনাব রাজীব ঘোষ , জনাব আমির হুসাইন স্মিথ, জনাব হাসান আরিফ, জনাব আহসান সাদিক, জনাব মতিউর সেন্টু , জনাব খালিদ হাসান নিয়াজ, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, জনাব মোঃ লুৎফর রহমান কাকন, জনাব প্রণব কৃষ্ণ রায়, জনাব মৌসুমী রায়, জনাব আবু আল আমিন খান মিঠু, জনাব দীপক কান্তি ভৌমিক, জনাব পুলক হাসান, জনাব অহিদুল হক খান , জনাব আনিসুর রহমান জুয়েল]
গঠনতন্ত্রে বার্ষিক ও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যকরী কমিটির মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় তা নিষ্পত্তির জন্য গত ৯জুন ২০১৭ খ্রস্টাব্দে অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের বার্ষিক ও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যকরী কমিটির মেয়াদ সংক্রান্ত জুন মাস শব্দটি বাদ দিয়ে কার্যকরী কমিটির মেয়াদ দুই বছর ঠিক রেখে সেই অনুযায়ী বার্ষিক ও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করার বিষয়ে সভায় সর্বসম্মতক্রমে এই গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়।
[গত ৯জুন ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত সম্মনিত সদস্যবৃন্দ হলেন- জনাব সালাম জুবায়ের,জনাব মতিউর সেন্টু , জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, জনাব আনিসুর রহমান জুয়েল, জনাব রফিকুল ইসলাম জীবন, জনাব শরীফউদ্দিন সবুজ, জনাব তমিজ উদ্দিন আহমদ, জনাব মাহবুব-উল আলম সুমন, জনাব খালিদ হাসান, জনাব হালিম আজাদ, জনাব আফজাল হোসেন পন্টি , জনাব ইমামুল হাসান স্বপন, জনাব প্রণব কৃষ্ণ রায়, জনাব নাফিজ আশরাফ, জনাব আব্দুস সালাম, জনাব অরুন কুমার দে, জনাব পুলক হাসান, জনাব লুৎফর রহমান কাকন, জনাব রফিকুল ইসলাম রফিক, জনাব মাহবুবুর রহমান মাসুম, জনাব বিমল রায়, জনাব মৌসুমী রায়, জনাব হাসানুজ্জামান শামীম, জনাব দীপক কান্তি ভৌমিক, জনাব আহসান সাদিক, জনাব সামসুল ইসলাম ভূইয়া, জনাব হাসান আরিফ, জনাব আমির হুসাইন স্মিথ, জনাব ইউসুফ আলী এটম, জনাব বিমান ভট্রাচার্য, জনাব সাইদুর রহমান, জনাব খন্দকার শাহ্ আলম, জনাব হাবিবুর রহমান বাদল, জনাব আবু সাউদ মাসুদ, জনাব মাকসুদুর রহমান কামাল , জনাব নাহিদ আজাদ, মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, জনাব মজিবুল হক পলাশ, জনাব রুমন রেজা, জনাব বিল্লাল হোসেন রবিন, জনাব অহিদুল হক খান , জনাব আবু আল মোরছালীন বাবলা, জনাব ইশয়িাক আহমেদ, জনাব আনিসউর রহমান আনিস।
গঠনতন্ত্র
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব
নারায়ণগঞ্জ
Leave a Reply